মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, আসন্ন নির্বাচন বাতিল করে আমাকে বিজয়ী ঘোষণা করা উচিত। প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্রেটিক দলীয় প্রার্থী হিলারি কিনটনের নীতির সমালোচনা করে এই মন্তব্য করেন ট্রাম্প। গতকাল শুক্রবার এ খবর দেয় সিএনএন।
৮ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ পর্যন্ত বিভিন্ন জরিপে এগিয়ে রয়েছেন হিলারি, এমনকি আগাম ভোটেও।
সম্প্রতি যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগ ওঠলে ট্রাম্পের জনপ্রিয়তায় আরও ভাটা পড়ে। দলীয় অনেক জ্যেষ্ঠ নেতাও ট্রাম্পকে ভোট দেবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। এমনকি নির্বাচন থেকে ট্রাম্পের সরে দাঁড়ানো উচিত বলেও জোর চাপ দেওয়া হয়। কিন্তু ধনকুবের ট্রাম্প স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, ‘কোনো মতেই আমি সরে যাব না।’
ট্রাম্প এ-ও বলেছেন, হেরে গেলে তিনি ফল মানবেন না। ভোট কারচুপি হতে পারে বলেও সন্দেহ তার। ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এই চিন্তাকে ‘বিপজ্জনক’ বলে মন্তব্য করেছেন।
সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার ওহাইও অঙ্গরাজ্যে এক জনসভায় গিয়ে নির্বাচন নিয়ে কথা বলেন ট্রাম্প। তার ভাষ্য, হিলারির নীতি এতটাই খারাপ যে, নির্বাচনের কোনো কারণ ভেবে পাচ্ছেন না তিনি। ট্রাম্প বলেন, ‘আমাদের উচিত নির্বাচন বাতিল ঘোষণা করা। উচিত, প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের নাম ঘোষণা করা।’
যৌন কেলেঙ্কারি ছাড়াও অভিবাসনবিরোধী ও মুসলিমবিরোধী বক্তব্যের জন্য ট্রাম্প সমালোচিত হয়েছেন। রাশিয়া ও দেশটির প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের প্রতি সম্মান দেখিয়েও সমান সমালোচিত হয়েছিলেন তিনি।
ইসলামবিদ্বেষী হলেও ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন ভোটারদের পে নেওয়ার জন্য নতুন বিজ্ঞাপন তৈরি করেছেন ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় টিভি চ্যানেলগুলোয় এই বিজ্ঞাপন প্রচার করা হবে বলে ট্রাম্পের প্রচারশিবির থেকে জানানো হয়েছে। বিজ্ঞাপনে ট্রাম্প বলেছেন, তিনি ভারতকে ভালোবাসেন। হিন্দুদের ভালোবাসেন। তিনি প্রেসিডেন্ট হলে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর হবে। বিজ্ঞাপনচিত্রে ট্রাম্প হিন্দিতেও কিছু বলার চেষ্টা করেছেন।
এদিকে এবারের ভোটারদের শতকরা ৫১ ভাগই আশঙ্কা করছেন, ৮ নভেম্বর নির্বাচনের দিন সহিংসতা হবে। ঘটনা যদি সেদিকেই মোড় নেয় তবে আমেরিকার জন্য এটি হবে নতুন এক অভিজ্ঞতা। ইউএসএটুডে ও সাফল্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। একই জরিপে দেখা গেছে, ট্রাম্পের চেয়ে ১০ পয়েন্ট ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিলারি কিনটন। জয়ী হলে হিলারিই হবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট।